



Click to open expanded view
About the Book -
জ্যোতিষশাস্ত্রের ওপর
বাংলা ভাষায়
রচিত বই
আজকাল অনেক
পাওয়া যায়।
এগুলির মধ্যে
খুব ভালো
বইও আছে।
কিন্তু সমস্যা
অন্য জায়গায়।
জ্যোতিষের বইগুলি
অধিকাংশই হয়
মূল কোনও
সংস্কৃত গ্রন্থর
অনুবাদ, না-হয়
সংস্কৃত গ্রন্থের
অনুসরণে লেখা।
বিগত ত্রিশ
বছরে আমাদের
শিক্ষাব্যবস্থার আমূল
পরিবর্তন হয়েছে।
সংস্কৃতের পঠন-পাঠন
উঠে গেছে।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
পরিচালিত ম্যাট্রিকুলেশন
কোর্সে ১০০
নম্বর আবশ্যিক
সংস্কৃতপাঠের একটা
ব্যবস্থা ছিল।
ছাত্ররা বাধ্য
হয়েই সংস্কৃত
পড়তেন এবং
সংস্কৃত সাহিত্যের
একটা পরিচয়
পেতেন। এঁরা
অনেকেই সরল
সংস্কৃত ভাষায়
রচনা অনুবাদ
ছাড়াই বুঝতে
পারেন।
শ্রদ্ধেয় বিমলাকান্তি
লাহিড়ী মহাশয়
বৃহৎ পরাশরী
হোরার যে
সংস্করণ বের
করেছিলেন, তার
মধ্যে মূল
বইয়ের অনেক
অংশ অনুবাদ
না করেই
শুধু উদ্ধৃত
করেছিলেন ওই
অংশ সহজবোধ
সংস্কৃত ভাষায়
রচিত বলে।
৪০-৫০
বছর আগে
বিমলাকান্তিবাবুর এই
বই জ্যোতিষীদের
অবশ্যপাঠ্য প্রিয়
বই ছিল।
আজকের জ্যোতিষীরা
অনেকেই বোধহয়
এই বই
চোখেও দেখেননি।
শ্রদ্ধেয় হরিহর
মজুমদার এই
পরাশরী হোরার
ওপর ভিত্তি
করেই ফলিত
জ্যোতিষের ওপর
একখানা বই
লিখেছেন। সেটিও
ভালো বই।
কিন্তু প্রাচীন
পদ্ধতি অনুসরণ
করেই লেখা।
আমার জ্যোতিষ-শিক্ষক
অভিজ্ঞতায় দেখছি,
এখনকার ছাত্র-ছাত্রীরা
এই বইও
খুব আগ্রহ
নিয়ে পড়েন
না, কারণ
অনেক অংশই
তাদের কাছে
খুব সহজবোধ্য
নয়। প্রধানত
এই কারণেই
আমার ইচ্ছা
হয়েছিল আধুনিক
ছাত্র-ছাত্রী
ও জিজ্ঞাসুদের
প্রশ্ন-পদ্ধতি
অনুসরণ করে
কোষ্ঠী-বিচারের
ওপর একখানা
বই লেখা।
সেই পদ্ধতি
অনুসরণ